শুক্রবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৪:২৯ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক:-“বাংলাদেশ আমার অহংকারচ্ এই স্-োগান নিয়ে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-০৭প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিভিন্ন ধরণের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে জোড়ালো ভূমিকা পালন করে আসছে।
র্যাব সৃষ্টিকাল থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধ এর উৎস উদঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতারসহ আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির সার্বিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে।
র্যাব-৭, চট্টগ্রাম অস্ত্রধারী সস্ত্রাসী, ডাকাত, ধর্ষক, দুর্ধষ চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, খুনি, ছিনতাইকারী, অপহরণকারী ও প্রতারকদের গ্রেফতার এবং বিপুল পরিমাণ অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ ও মাদক উদ্ধারের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করায় সাধারণ জনগনের মনে আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
ভুক্তভোগী মিঠুন চক্রবর্তী পেশায় একজন গাড়ীর ড্রাইভার, গাড়ি চালানোর সুবাদে
মিঠুন চক্রবর্তীর গ্রেফতারকৃত প্রতারক মোহাম্মদ সোহেল আলম এর সাথে তার পরিচয় হয়। পরিচয় ও কথাবার্তার এক পর্যায়ে ধৃত প্রতারক বলে হাটহাজারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপে-ক্সে ড্রাইভার পদে
চাকরি দিতে পারবে ও তার লোক আছে এ কথা বলে প্রতারক মোহাম্মদ সোহেল আলম তার অপর সহযোগী মোঃ জসীম উদ্দিন এর সাথে মিঠুন চক্রবর্তীকে পরিচয় করিয়ে দেয়। এরপর প্রতারকদ্বয় মিঠুন চক্রবর্তীকে চাকরি দেয়ার কথা বলে ৬ লক্ষ টাকা দাবি করে এবং টাকা দিলে স্থায়ীভাবে চাকরির ব্যবস্থা করে দিবে বলে প্রলোভন দেখায়। মিঠুন চক্রবর্তী সরল বিশ্বাসে প্রতারকদ্বয়ের মিথ্যা
কথার ফাঁদে পরে গত ১৫ জুলাই ২০২২খ্রিঃ তারিখ সকাল ১০০০ ঘটিকায় হাটহাজারী থানাধীন পৌরসভাস্থ পশ্চিম দেওয়ান নগরস্থ বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড এর পাশে একটি দোকানের ভিতরে হতে তার স্ত্রী ও স্ত্রীর বড় ভাই রঞ্জিত চক্রবর্তীর সামনে ০২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা প্রতারক মোহাম্মদ
সোহেল আলমথকে প্রদান করে। এর কয়েক দিন পর মোহাম্মদ সোহেল আলম বাকি টাকা দ্রুত পরিশোধ করার জন্য তার সহযোগাী মোঃ জসীম উদ্দিন চাপ দিচ্ছে বলে মিঠুন চক্রবর্তীকে জানায়।
পরবর্তীতে দ্বিতীয় ধাপে আরো ০২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা মিঠুন চক্রবর্তী পরিশোধ করে। দুই ধাপে সর্বমোট ০৫ লক্ষ টাকা পরিশোধ করার পর প্রতারক চক্রটি মিঠুন চক্রবর্তীকে একটি নিয়োগপত্র প্রদান করে। নিয়োগপত্রটি হাতে পাওয়ার পর যাচাই-বাছাই করে মিঠুন চক্রবর্তী জানতে পারে যে, এটা একটা ভুয়া নিয়োগপত্র। এরপর এই বিষয় নিয়ে প্রতারক চক্রের সাথে যোগাযোগ করলে তারা
বিভিন্ন ধরণের তাল-বাহানা ও হুমকি ধামকি প্রদান করে। সে সত্বেও মিঠুন চক্রবর্ত্তী প্রতারক মোহাম্মদ সোহেল আলম এর নিকট কান্নাকাটি করলে তখন ০১ লক্ষ টাকা ফেরত দেয় এবং বাকি টাকা পরে দিবে বলে আশ্বস্ত করে। কয়েকদিন পর আবার তার সাথে যোগাযোগ করলে তখন মোহাম্মদ
সোহেল আলম জানায় তার কাছে কোন টাকা নেই সকল টাকা তার অপর সহযোগী মোঃ জসীম উদ্দিন কে দিয়ে দিয়েছে বলে মিঠুন চক্রবর্তীকে জানায় তখন এ বিষয় নিয়ে প্রতারক মোহাম্মদ সোহেল
আলম এর সাথে মিঠুন চক্রবর্তীর কথা কাটাকাটি হয়। এরপর টাকার জন্য খোঁজ নিতে গিয়ে দেখা যায় দুই প্রতারকেরই মোবাইল ফোন বন্ধ। বিষয়টি হাটহাজারী বাজার সমিতি কে অবহিত করলে
তারাও স্থানীয়ভাবে বিষয়টি সমাধান করতে ব্যর্থ হয়।
পরবর্তীতে ভুক্তভোগী মিঠুন চক্রবর্ত্তী র্যাব-৭, চট্টগ্রাম বরাবর উল্লেখিত প্রতারনার বিষয়ে
একটি লিখিত অভিযোগপত্র দাখিল করে। ভুক্তভোগীর আবেদনের বিষয়টি মানবিকতার সহিত আমলে নিয়ে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম উল্লেখিত ঘটনার সাথে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে র্যাবের গোয়েন্দা
কার্যক্রম অব্যাহত রাখে। এরই প্রেক্ষিতে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম জানতে পারে যে, উক্ত প্রতারক চক্রের মূল হোতা মোহাম্মদ সোহেল আলম চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারী থানাধীন পৌরসভাস্থ পশ্চিম দেওয়ান নগরস্থ বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড এর পাশে একটি দোকানে অবস্থান করছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে গত ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২২ খ্রিঃ তারিখ দুপুর ১২৩০ ঘটিকায় র্যাব-৭, চট্টগ্রাম এর একটি আভিযানিক দল বর্ণিত স্থানে অভিযান পরিচালনা করে প্রতারক আসামী মোহাম্মদ সোহেল আলম (৩৬), পিতা-মৃত ফয়েজ আহমদ, সাং-চারিয়া শিকদার পাড়া, থানা-হাটহাজারী, জেলা-চট্টগ্রামথকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে গ্রেফতারকৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে সে
উল্লেখিত প্রতারনার কথা অকপটে স্বীকার করে। এছাড়াও ধৃত আসামী আরো জানায় সে এবং তার অপর সহযোগী মোঃ জসীম উদ্দিন পরিকল্পিতভাবে দীর্ঘ দিন যাবৎ সাধারণ মানুষথকে বিভিন্নভাবেপ্রলোভন দেখিয়ে সরকারী বিভিন্ন সংস্থায় বিভিন্ন পদে চাকুরি দেওয়ার কথা বলে লক্ষ লক্ষ টাকা
প্রতারণার মাধ্যমে আত্মসাৎ করে আসছে।
গ্রেফতারকৃত আসামী সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের নিমিত্তে চট্টগ্রাম
জেলার সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।