বৃহস্পতিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৩, ০৭:১২ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক:- সারা বিশ্বে অর্থনৈতিক, সামাজিক রাজনৈতিক, কোভিট, অভ্যান্তরিণ কোন্দল, দেশীয় ও আঞ্চলিক ইস্যু সহ নানান সমস্যায় এখন বিশ্ব এবং বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ। বিশ্ব এবং বিশ্বের মানুষ সবচেয়ে বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে কোভিট ১৯ এর প্রাদুর্ভাবের কারণে। করোনা ভাইরাসের কারণে সারা বিশ্বের অর্থনৈতিক চাকা বন্ধ হয়ে গিয়েছিলো। কোটি কোটি মানুষ মৃত্যু বরণ করছে এবং কোটি কোটি মানুষ চাকরি হারিয়ে বেকারত্বের অভিশাপ কাধে নিয়ে বোঝা বইছে। বাংলাদেশেরও উপর বিশাল এক ধকর গিয়েছে। সেই করোনার ধাক্কা কাটিয়ে উঠার আগেই আবার নতুন করে শুরু হলো রাশিয়া ইউক্রেনের যুদ্ধ। এর কারণেও বিশ্বব্যাপী বড় বিপর্যয় নেমে আসছে। সারা বিশ্বে খাদ্যের অভাব দেখা দিয়েছে। এভাবেই অস্থিতিশীল অবস্থায় বিশ্বের মানুষ দিনযাপন করছে। এই যুদ্ধের কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বিশ্বের ছোট ছোট দেশগুলো। একে অপরের দোষারোপ করেই যাচ্ছে কিন্তু সমাধান কিছুই হচ্ছে না। দিন যতই সামনে এগুচ্ছে ততই মহাসংকটে পতিত হচ্ছে বিশ্ববাসী। সারা বিশ্বে শুধুই ক্ষমতা বা দম্ভে একে অপরের কাছে নিজেদের শক্তিশালী প্রমাণ করার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আর তাদের এই ক্ষমতা এবং ক্ষমতার দম্ভে অশান্তি আর অশান্তির আগুনে পুড়ছে বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ। তাদের অভ্যান্তরিন কোন্দল ছড়িয়ে পড়েছে প্রতিটি দেশের অর্থনৈতিকের উপর। চারিদিকে এত অশান্তি এবং বৈশ্বিক সমস্যার মধ্যেও বাংলাদেশ করোনা মহামারি ধাক্কা কাটিয়ে উঠে স্বস্তিতে অবস্থান করতে যাচ্ছিলো। বাংলাদেশ চাচ্ছে বৈশ্বিক সংকট মোকাবেলায় শান্তি। কিন্তু বাংলাদেশ যেখানে সকল দেশের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রেখে দেশ পরিচালনা করতে মড়িয়া ; ঠিক সেই সময়েই মিয়ানমার নতুন করে অরাজকতা এবং দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য দিনদিন উস্কানি দিয়ে যাচ্ছে। প্রায় গত এক মাস যাবত বাংলাদেশের সীমান্তে গোলাগুলি অব্যাহত রেখেছে মিয়ানমার। এমতাবস্থায় বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে মিয়ানমার রাষ্ট্রদূত কে একাদিক বার তলব করে কড়া হুশিয়ারি দেওয়ার পরও তাদের এই গোলাগুলি অব্যহত রেখেছে।এর কারণে বাংলাদেশের একজন নিহতের ঘটনাও ঘটেছে। বাংলাদেশ শান্তিময় দেশ হওয়ার কারণে এখনো মিয়ানমারের উস্কানিতে পা না দিয়ে কূটনীতিক ভাবে সমস্যা সমাধানের পথ খুজেঁ বেড়াচ্ছে। মিয়ানমার সরকারের নির্যাতন নিপীড়ন থেকে বাঁচতে ২০১৭ সালে ১২ লক্ষ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নেয়। এত বোঝা বাংলাদেশের জন্য বাড়তি চাপ হওয়া স্বত্বেও বাংলাদেশ শান্তির জন্য ধর্য্যধারন করে যাচ্ছে। কিন্তু এই ধর্য্যধারণই বাংলাদেশের জন্য কাল হয়ে দাঁড়াচ্ছে। গত এক মাস পর্যন্ত নতুন করে মিয়ানমারের জান্তা সরকার সে দেশে আবারও তাদের অভ্যান্তরিন সমস্যায় সৃষ্টি করছে ; কিন্তু সমস্যার আঁচ এসে পড়ছে বাংলাদেশে। জান্তা সরকার এত উস্কানির পরও বাংলাদেশ তাদের ফাঁদে পা না দিয়ে কূটনীতিক তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। কারণ বাংলাদেশ কখনো যুদ্ধের পক্ষে নয়; বাংলাদেশ চাচ্ছে শান্তিপূর্ণ সমাধান। তবে বাংলাদেশের জন্য এতটা চুপ থাকাও চলবে না। বাংলাদেশেরও প্রস্তুতি থাকা দরকার। মিয়ানমারের এই উত্তেজনার সৃষ্টির পেছনে নতুন করে রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশের রনকৌশল হতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন। কিন্তু বাংলাদেশও আর সেই সুযোগ না দিতে অনড় অবস্থানে আছে। এই সমস্যা সমাধানের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উদ্যোগ এখন খুবই জরুরী। এমন উত্তেজনার মধ্যেও বাংলাদেশ শান্তিপূর্ণ অবস্থা বজায় রাখা একটি অনন্য উদাহরণ।
মুহাম্মদ আলী
মানবাধিকার কর্মী ও শিশু সংগঠক