শনিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১০:২২ পূর্বাহ্ন
রিপোর্টঃমোঃ ওবায়েদুর রহমান সাইদ শরীয়তপুর প্রতিনিধি।পদ্মার ভাঙ্গনে শরীয়তপুর – জাজিরা উপজেলার পালেরচর এবং বড়কান্দি ইউনিয়নের শতাধিক ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। হুমকির মুখে রয়েছে আরও দুইশ পরিবার।ক্ষতিগ্রস্থরা আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছে। তারা এখন অন্যের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন। আবার কেউ কেউ জমি ভাড়া নিয়ে ঘর তুলেছে। তাদের জীবন এখন দুর্বিসহ হয়ে উঠেছে। অনেকে মানবেতর জীবনযাপন করছে।
ভাঙ্গন রোধে দ্রুত স্থায়ী বেড়িবাঁধ নির্মাণের দাবি জানিয়েছে তারা।পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, পদ্মার ভাঙ্গন রোধে দেড়লক্ষ জিওব্যাগ এবং জিওটিউব নদীতে ফেলে হয়েছে। আরও পঁচিশ হাজার জিওব্যাগ ফেলা হবে।অতি সম্প্রতি পানি সম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম ভাঙ্গন কবলিত পালেরচর ইউনিয়নের কাথুরিয়া এলাকা পরিদর্শনে গিয়েছিলেন। তিনি জরুরী ভিত্তিতে বাঁধ নির্মাণের আশ্বাস দিয়েছেন।পালেরচর এবং বড়কান্দি ইউনিয়নের কয়েকজন বাসিন্দা জানান, পদ্মার ভাঙ্গনে তাদের ফসলি জমি, গাছপালা ও বসতভিটা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ঝুঁকিতে রয়েছে প্রায় দুইশ পরিবার। জরুরী ভিত্তিতে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ না করলে এই দুইশ পরিবারের ঘর বাড়ি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে।এ ব্যাপারে পালেরচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল হোসেন ফরাজী বলেন, গত এক মাস যাবৎ পালেরচর ইউনিয়নে পদ্মার ভাঙ্গন চলছে। ভাঙ্গন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড জিওব্যাগ ফেলছে। কিন্তু কোন লাভ হচ্ছে না। ভাঙ্গনের মাত্রা বেড়েই চলেছে। জরুরী ভিত্তিতে ভাঙ্গন রোধ করা না গেলে আরও দুইশ পরিবারের বসতভিটা নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে।জাজিরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুল হাসান সোহেল বলেন, পদ্মার ভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্থ ১শ ৩০ পরিবারের প্রত্যেককে ৩০ কেজি করে চাল দেয়া হয়েছে। ৮০ টি পরিবারকে ২ হাজার করে টাকা এবং ২৫ টি পরিবারকে ২ বান্ডিল টিন ও ছয় হাজার করে টাকা দেয়া হয়েছে। ভাঙ্গন কবলিত লোকদের পাশে উপজেলা প্রশাসন সবসময় আছে এবং থাকবে।শরীয়তপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী এস.এম আহসান হাবীব বলেন, জাজিরা উপজেলার পালেরচর এবং বড়কান্দি ইউনিয়নে পদ্মার ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। ভাঙ্গন রোধে দেড়লক্ষ জিওব্যাগ ও জিওটিউব ফেলা হয়েছে। আরও ২৫ হাজার জিওব্যাগ ফেলা হবে।