1. admin@dailyoporadhonusondhanltd.net : admin :
শিরোনামঃ
নোয়াখালী জেলার সুধারাম থানার চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার এজাহারনামীয় পলাতক আসামি মোঃ রায়হান’কে চট্টগ্রামের পটিয়া থেকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৭ ও র‌্যাব-১১। সীতাকুণ্ডে মহাসড়ক অবরোধ করে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ যানজট সৈনিক কল্যাণ সংস্থা Uno নিকট খেজুরের বীজ প্রদান বাংলাদেশ গ্রাম ডাক্তার কল্যাণ সমিতি চট্টগ্রাম জেলা শাখা কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠান ও মাস ব‍্যাপি সাংগঠনিক কর্মসূচি 2024 সম্পন্ন। বরগুনার তালতলীতে অবৈধ চোলাই মদসহ আটক ১ জন। “শিক্ষায় কিন্ডারগার্টেন শিক্ষকদের আন্তরিকতা প্রশংসনীয়”– “শিক্ষায় কিন্ডারগার্টেন শিক্ষকদের আন্তরিকতা প্রশংসনীয়” শেরপুরের ঝিনাইগাতী তিনজন হোটেল মালিককে ৬ হাজার টাকা জরিমানা ২ কেজি গাঁজা সহ এক মাদক ব্যবসায়ী বরগুনা ডিবি পুলিশের হাতে আটক।

মেঘনা থানার ওসি’র ভয়ে নির্ঘুম মাদক কারবারিরা

  • আপডেট সময়ঃ শনিবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২২
  • ৯৩ জন দেখেছেন

বিশেষ প্রতিনিধিঃ কুমিল্লার মেঘনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) ছমিউদ্দিন এর ভয়ে নির্ঘুম চাঁদাবাজ,ভূমিদস্যু ও মাদক কারবারিরা।জানা যায়,এই মূহুর্তে আলোচিত নাম মেঘনা থানার ওসি ছমিউদ্দিন। চাঁদাবাজ,মাদক সিন্ডিকেট ও ভূমিদস্যূদের অপতৎপরতা রুখে দিয়ে তিনি কুমিল্লাসহ দেশব্যাপী হয়েছেন ব্যাপক আলোচিত ও প্রশংসিত।আর দীর্ঘদিনের আবর্জনা উৎপাটনে এলাকার সাধারণ মানুষ তাঁর সাথে থাকলেও জন্ম নিয়েছে বেশ কিছু গোপন শত্রু।আর সেই গোপন শত্রুরা মাথা চড়া দিয়ে ওঠেছে ওসির বিরুদ্ধে। ওই সংঘবদ্ধ চক্রটি এক প্রবাসীর স্ত্রীকে ব্যবহার করে ওসি ছমিউদ্দিন ও এস আই মোশাররফ হোসেনের নামে যৌন নীগৃহ ও নারী নির্যাতনের মামলা করেন।এরপরই নড়েচড়ে  ওঠে দেশের গণমাধ্যম।এই নিয়ে  ছাপা হচ্ছে নানা ধরণের সংবাদও। কোনটা সত্য আর কোনটা মিথ্যা-এসব বুঝতে যখন আমজনতা দিকভ্রান্ত, গোলক ধাঁধাঁয়, ঠিক তখনি ঘটনার পিছনের ঘটনা উৎঘটনে দাউদকান্দিসহ বিভিন্ন উপজেলার গণমাধ্যম কর্মীরা

নামে মাঠে।কি পেলো আসলে সাংবাদিকরা? সত্যিই কী ওসি ফেঁসে যাচ্ছেন? প্রবাসীর ওই স্ত্রী কি সত্যিই যৌন নীগৃহ বা যৌন হেনেস্তার শিকার হয়েছেন? ঘটনার সময় থেকে মামলার রুজুর তারিখের মধ্যে এত তারতম্য কেনো? না কি মাঝখান থেকে ফায়দা লুটছে তৃতীয় কোন পক্ষ? জানা গেছে মেঘনা থানার ওসি মো.ছমিউদ্দিন ও এসআই মো. মোশাররফ হোসেনের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতনের অভিযোগে একটি মামলা হয়েছে। মামলাটি করেছেন মেঘনা থানার শিকিরগাও গ্রামের এক প্রবাসীর স্ত্রী। গত ৪ সেপ্টেম্বর রোববার কুমিল্লার ‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩’ এ অভিযোগটি করেন ওই নারী।কিন্তু মামলার এজহারে বাদীনি উল্লেখ করেন, চলতি বছরের ২৬শে জুলাই প্রথমে নিজ বাড়ি ও পরে থানায় নিয়ে গিয়ে তার ওপর শারীরিক ও যৌন নির্যাতন চালানো হয়েছে।মামলা নিয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেছেন মেঘনা থানার ওসি মো.ছমিউদ্দিন। মামলাটিকে মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যেপ্রণোদিত বলে দাবি করেন তিনি। আইনি প্রক্রিয়ায় মীমাংসিত একটি বিষয়কে প্রায় দেড়মাস পরে এসে ইস্যু বানানোকে প্রশাসনের ভাবমূর্তি নস্যাৎ করার ষড়যন্ত্র হিসেবেই দেখছেন তিনি। স্থানীয় মাদক কারবারি, চাঁদাবাজ আর ভুমিদস্যুদের একটি চক্র এর পেছনের ইন্ধনদাতা বলে দাবি ওসির। তিনি বলেন, মেঘনা থানায় অফিসার ইনচার্জ হিসেবে ২০২১ সালের ডিসেম্বরে যোগদানের পর থেকেই যাদের বিরুদ্ধে নানা ভাবে সফল অভিযান চালিয়ে যাচ্ছি, কোন ভাবেই আমাকে আইনের পথ থেকে সরাতে না পেরে মহিলাটিকে দিয়ে তারাই প্রমাণহীন গল্পকাহিনির এই  মামলাটি সাজিয়েছে।শুধুমাত্র আমার ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্যই এই অপপ্রয়াস। তদন্তে সত্য বেড়িয়ে আসবে বলে আমার বিশ্বাস, সে কয়দিন অপেক্ষা করা ছাড়া উপায় কি?বাদীনির সাথে দেখা করতে তার বাড়িতে গেলে, বাড়িটি তালাবদ্ধ পায় গণমাধ্যমকর্মীরা। তখন বাদীনির মুঠোফোনে ফোন করলে সেটিও বন্ধ পাওয়া যায়। মামলা করার পর থেকেই বাড়িতে অবস্থান করছেন না তারা বলে জানা যায়।প্রতিবেশীর পারভেজ হোসেন নামে এক সরকারি কর্মকর্তা বাদীনির প্রতিবেশী। ঐ বাড়ির সামনে দাঁড়িয়েই কথা হচ্ছিল তার সাথে। তিনি বলেন, এই মহিলাটির কাজই হলো মামলা করা। এখনো অনেকগুলো মামলা চালাচ্ছেন তিনি। পরিবারের লোক থেকে শুরু করে প্রতিবেশিদের বিরুদ্ধে মামলা করে সে ঠুনকো অভিযোগে। থানার ওসির বিরুদ্ধেও যে মামলা করবে, এটা ভাবতে পারিনি। অবশ্য এলাকার বড় বড় বাটপারদের সাথে ওঠাবসা তার, করতেও পারে।মুজাফফর নামে আরেক বৃদ্ধ বলেন, ওসি সাহেব তো আমাদের এলাকায় ভালো কাজ করছেন, কোন ঘটনা ঘটলে তাকে ডাকতে হয় না, নিজেই ছুটে আসেন, তার দ্বারা এমন কাজ, বিশ্বাস হয় না। মেয়েটা ভালো না, স্বামী বিদেশ, কোথায় যায়, কি করে, বলা মুশকিল।পাশের এক মুদি দোকানির কাছে বাদীনির বিষয়ে জানতে চাইলে, তিনি কোন কথা বলতে রাজি হননি। শুধু মন্তব্য করে বলেন, আমি দোকানদার মানুষ, তার সম্পর্কে কিছু বললে,

এলাকায় থাকতে পারব না। বোঝা গেল, দরিদ্র হলেও এলাকায় বেশ প্রভাশালী তিনি। কাদের সাথে চলার কারণে এলাকার মানুষ তাকে ভয় পায়, বিষয়টি তদন্তের দাবি রাখে।

এজাহারে যা লেখাঃ দেখা যাচ্ছে, বাদীনি ঘটনার তারিখ উল্লেখ করেছেন ২৬/৭/২২, আর মামলা করছেন ৪/৯/২২ ইং তারিখে। অর্থাৎ প্রায় দেড় মাস পেরিয়ে যাওয়ার পর মামলা করতে গেছেন তিনি। সাধারণত, এ সকল ঘটনায় সংক্ষুব্ধ হলে তাৎক্ষণিক অভিযোগ করার কথা। তাছাড়া আঘাতের চিহ্নগুলোও মিলিয়ে যায়। তাহলে উনি এত দেরিতে কেন? কিভাবে টর্চার, যৌনতা নিগৃহীতা প্রমাণ করবেন? না কি তিনি শুধু অভিযোগের জন্যই মামলা করেছেন, প্রমাণ করতে চান না। কারো দ্বারা উৎসাহিত হওয়া, কিংবা অন্যকোন উদ্দেশ্য থাকার ওসির যে আশংকা, এটা তার প্রমাণ দেয়।হট্সঅ্যাপে কুপ্রস্তাবের প্রসঙ্গ  উল্লেখ করে পরক্ষণেই বলা হচ্ছে, থানায় নিয়ে তার ফোন থেকে এভিডেন্স গুলো মুছে ফেলা হয়েছে। তাহলে তিনি ফোনটি কেন থানায় নিয়থানায় নিয়ে তার ফোন থেকে এভিডেন্স গুলো মুছে ফেলা হয়েছে। তাহলে তিনি ফোনটি কেন থানায় নিয়ে গেলেন? গ্রেফতারের সময় করা ভিডিওতে সাবলীলভাবে নিজের ফোন ধরে রাখতে দেখা গেছে তাকে। ইচ্ছে করলেই তিনি ফোনটি বাসায় রেখে যেতে পারতেন, অথবা ডেটাগুলো আগেই অন্যকোন জায়গায় সংরক্ষণ করে রাখতে পারতেন। যেটির কোন প্রমান নেই, সেই প্রসঙ্গ উত্থাপনই বা কেন, আবার মুছে ফেলার কথাই বা কেন? আইন তো প্রমানের ওপর নির্ভরশীল, কল্পনায় চলে না।

এজাহারে বাদীনি আরো লিখেছেন, টেনে হেঁচড়ে রুমে নিয়েই ওসি তাকে কুপ্রস্তাব দেয়, রাজি না হওয়ায় মারধোর করে। এতএত ঘটনার পর গ্রেফতার করে, টেনে হেঁচড়ে রুমে নিয়ে একটি মহিলাকে তাৎক্ষণিক  কুপ্রস্তাব দেবে? আবার প্রত্যাশাও করবে সে রাজি হবে। একটি থানার ওসি কি এতটাই বোকা ? কল্পনারও একটা লিমিট থাকে, এ যেন তাকেও ছাড়িয়ে গেছে।সবচেয়ে বড়ো কথা, অধিনস্ত কলিগদের সামনে (সেখানে মেয়ে কলিগও আছে, যিনি বাদীনিকে গ্রেফতার করে এনেছেন), এত সোরগোলের মাঝখানে, থানার ওসি তাকে কু-প্রস্তাব করছে, রাজি না হওয়ায় রাতভর টর্চার করছে, গল্প ছাড়া এটি আর কি। এই জাতীয় গল্প এজাহার হয় কি করে, যেখানে তথ্য-প্রমাণের কোন বালাই নেই। সেটিও প্রশ্ন হয়ে থাকল।যা ভিডিও ফুটেজে যা দেখা গেছে আসল ঘটনা কী।

শেয়ার করুন

আরো দেখুন......