শনিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৩:০৪ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ“বাংলাদেশ আমার অহংকারচ্ এই স্লোগান নিয়ে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)
প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিভিন্ন ধরণের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে জোড়ালো ভূমিকা পালন করে আসছে।
র্যাব সৃষ্টিকাল থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধ এর উৎস উদঘাটন, অপরাধীদের
গ্রেফতারসহ আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির সার্বিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে।
র্যাব-৭, চট্টগ্রাম অস্ত্রধারী সস্ত্রাসী, ডাকাত, ধর্ষক, দুর্ধষ চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, খুনি, ছিনতাইকারী, অপহরণকারী ও প্রতারকদের গ্রেফতার এবং বিপুল পরিমাণ অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ ও মাদক উদ্ধারের
ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করায় সাধারণ জনগনের মনে আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
র্যাব-৭, চট্টগ্রাম গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারে যে, কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী একটি প্রাইভেটকার যোগে মাদকদ্রব্য বহন করে কুমিল্লা হতে চট্টগ্রামের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে গত ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ খ্রিঃ তারিখ রাত ২১২০ ঘটিকায় র্যাব-৭, চট্টগ্রামের একটি
আভিযানিক দল ফেনী জেলার ফেনী মডেল থানাধীন একটি গাড়ি ওয়াশ সেন্টারের সামনে ঢাকা টু চট্টগ্রামগামী মহাসড়কের পাঁকা রাস্তার উপর একটি অস্থায়ী চেকপোষ্ট স্থাপন করে গাড়ী তল্লাশী শুরু করে। এসময় র্যাবের চেকপোস্টের দিকে আসা একটি প্রাইভেটকারের গতিবিধি সন্দেহজনক
মনে হলে র্যাব সদস্যরা প্রাইভেটকারটিকে থামানোর সংকেত দিলে প্রাইভেটকারটি না থামিয়ে দ্রুত গতিতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে র্যাব সদস্যরা গাড়ীসহ আসামী ১। ফারুক হোসেন (১৮), পিতা- মোঃ আক্তার হোসেন, সাং- গলনাই, থানা-চান্দিনা, জেলা-কুমিল্লা এবং ২। মোঃ মাছুম
(২০), পিতা- মোঃ ফারুক, সাং- সংখোলা, থানা- গোয়াইনঘাট, জেলা- সিলেট এ/পি- সাং-মুহুরীপাড়া, থানা-ডবলমুরিং, জেলা- চট্টগ্রামদ্বয়কে আটক করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত আসামীদ্বয়কে জিজ্ঞাসাবাদ ও তল্লাশী করে তাদের দেখানো ও
সনাক্তমতে উক্ত গাড়ীর ব্যাকডালার ভিতর হতে দুইটি সাদা প্লাস্টিকের বস্তার ভিতর হতে মোট ৪০ কেজি গাঁজা উদ্ধারসহ আসামীদ্বয়কে গ্রেফতার করা হয় এবং উক্ত গাড়ীটি কাগজপত্র বিহীন জব্দ
করা হয়। উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্যের আনুমানিক মূল্য ০৬ লক্ষ টাকা।
৩। আটককৃত আসামীদ্বয়কে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, তাঁরা পরস্পর
যোগসাজসে ড্রাইভিং পেশার আড়ালে, দীর্ঘদিন যাবৎ সুকৌশলে মাদকদ্রব্য গাঁজা কুমিল্লা জেলার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে গাড়ী যোগে বহন করে পরবর্তীতে ফেনী, চট্টগ্রামসহ আশপাশের জেলার বিভিন্ন মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবনকারীদের নিকট বিক্রয় করে আসছে।
গ্রেফতারকৃত আসামী সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের নিমিত্তে চট্টগ্রাম
মহানগরীর চান্দগাঁও থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।