নিজস্ব প্রতিবেদক:“বাংলাদেশ আমার অহংকারচ্ এই স্লোগান নিয়ে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিভিন্ন ধরণের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে জোড়ালো ভূমিকা পালন করে আসছে।
র্যাব সৃষ্টিকাল থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধ এর উৎস উদঘাটন, অপরাধীদের
গ্রেফতারসহ আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির সার্বিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে। র্যাব-
৭, চট্টগ্রাম অস্ত্রধারী সস্ত্রাসী, ডাকাত, ধর্ষক, দুর্ধষ চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, খুনি,
ছিনতাইকারী, অপহরণকারী ও প্রতারকদের গ্রেফতার এবং বিপুল পরিমাণ অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ
ও মাদক উদ্ধারের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করায় সাধারণ জনগনের মনে আস্থা ও বিশ্বাস
অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
২। র্যাব-৭, চট্টগ্রাম গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারে যে, কতিপয় চোরাকারবারী ফেনী
জেলার সীমান্তবতর্ী এলাকা হতে অবৈধভাবে বিভিন্ন ধরনের ভারতীয় শাড়ি কাপড় নিয়ে একটি
কাভার্ডভ্যানযোগে বিক্রির উদ্দেশ্যে ফেনী জেলার ফুলগাজী থানা এলাকা থেকে চট্টগ্রাম এর
দিকে নিয়ে যাচ্ছে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে অদ্য ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২২ইং তারিখ ০৪.১০ ঘটিকায়
র্যাব-৭, চট্টগ্রাম এর একটি আভিযানিক দল ফেনী জেলার ফেনী মডেল থানাধীন হাসপাতাল মোড়
এলাকায় পাকা রাস্তার উপর একটি অস্থায়ী চেকপোষ্ট স্থাপন করে গাড়ী তল্লাশী শুরু করে। এসময়
একটি কাভার্ডভ্যান তল্লাশী করে আসামী মোঃ শাহ আলম (২৮), পিতা- আঃ জলিল, সাং-
বিজয়করা, থানা- চৌদ্দগ্রাম, জেলা- কুমিল্লাকে আটক করে। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের
সম্মুখে আটককৃত আসামীর দেখানো ও সনাক্তমতে তার দখলে থাকা উক্ত কাভার্ডভ্যানের মালামাল
বহন করার জায়গায় ৪২ টি পাটের বস্তা ও ০৪ টি প্লাস্টিকের বস্তার ভিতর মোট চোরাইকৃত
২,৮৮০ পিস ইন্ডিয়ান শাড়ি, ২৩৫ পিস লেহেঙ্গা এবং ১০০ পিস থ্রিপিস উদ্ধারসহ আসামীকে
গ্রেফতার করা হয় এবং চোরাই মালামাল বহনে ব্যবহৃত কাভার্ডভ্যানটি জব্দ করা হয়।
৩। গ্রেফতারকৃত আসামীকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, সে দীর্ঘদিন যাবৎ
সীমান্তবতর্ী দেশ ভারত হতে শুল্ক/কর ফঁাকি দিয়ে অবৈধভাবে বিভিন্ন কাপড় আনয়নপূর্বক
বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে পাইকারী মূল্যে বিক্রয় করে আসছে। উদ্ধারকৃত চোরাই কাপড়ের
আনুমানিক মূল্য ০১ কোটি টাকা।
৪। গ্রেফতারকৃত আসামী এবং উদ্ধারকৃত মালামাল সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা
গ্রহণের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।