ক্রাইম রিপোর্টার (চট্রগ্রাম বিভাগ):-
পিরোজপুর জেলার, ভান্ডারিয়া উপজেলার, ৩৫৯, মাটিভাঙ্গা গ্রামের, মাতা, ফাহিমা বেগম, পিতা, মো: জাহাঙ্গীর ফরাজীর ছেলে ভুয়া ডাঃ মো: মাহিম হোসেন (২২)।
বর্তমানে, চট্রগ্রাম মহানগরীর, ইপিজেড থানাধীন, বন্দরটিলা, কাঁচা বাজার গলি, মির্জা ম্যানশন, নীচ তলা, বরিশাল মেসার্স মা ফার্ম্মসীতে ঔষধের ব্যবসা ও ভুয়া ডাঃ হিসেবে কর্মরত থাকা কালীন।
গার্মেন্টস নারী কর্মী ঝর্ণা চাবুরী করা কালীন চাকুরীতে আসা যাওয়ার পথে ভুয়া ডাঃ মাহিম এর ফার্ম্মেসীতে ঝর্ণার পরিচয় হয়।
পরিচয়ের কিছুদিন পর মাহিম ঝর্ণাকে বিভিন্ন ভাবে অঙ্গিভঙ্গির মাধ্যমে প্রেমের প্রস্তাব দিলেও ঝর্ণা তাহা এড়িয়ে চলেন।
বিগত ০২ জানুয়ারী ০২২ খ্রিঃ ঝর্ণা কর্মস্হল থেকে আসার পথে মামলার আসামী মাহিম ঝর্ণাকে ডেকে দোকানে বসিতে বলায়, ঝর্ণা বসিলে তখনই ঝর্ণাকে বিবাহ করার প্রস্তাব দিলে ঝর্ণা রাজি হয়ে যায়।
আসামী মাহিম ০১ -০৭ -২০২২ খ্রি: ঝর্ণাকে বলেন চল বিবাহ করার জন্য কাজী অফিসে যাওয়ার নামে, প্রতারক মাহিম পূর্ব থেকে ভাড়া করা ঘরে তথা ঘটনাস্হল, বায়েজিদ থানাধীন, হাজীরপুল, হামিদ উল্লাহ খানের ভাড়াঘরে কাজী আসিয়া কাবিননামা সম্পাদন করিবে বলা হয়।
তারই ধারাবাহিকতায় ০১/০৭/০২২ খ্রি: রাত ৮.০০ ঘটিকার সময় আসামী মাহিম ঝর্ণাকে নিয়া ঘটনাস্হলে ঘন্টা দুয়েক অপেক্ষা করার পর কাজী আসিতেছে না কেন? ঝর্ণা মাহিমকে জিজ্ঞাসা করিলে, আসামী মাহিম বলে একটু পরে আসিবে বলিয়া ঝর্ণাকে কথা ফিরিয়ে দেয়।
এ ভাবে অপেক্ষা করতে রাত ১১ ঘটিকার মাহিম ঝর্ণার কাছে গিয়া ঝর্ণাকে জড়িয়ে ধরে।
ঝর্ণা আসামী মাহিমকে বলে এখন কিছুই হবে না সবকিছু বিবাহের পর, আসামী মাহিম বলে বিবাহ তো কাল হবে বলিয়া ঝর্ণাকে জোরপূর্বক খাটের উপর শুয়াইয়া ফেলেন এবং ঝর্ণাকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষন করেন।
তৎপরবর্তী আসামী মাহিম বাহির হইয়া আসি বলিয়া যে চলে গেলেন আর আস নাই।
বার বার ফোন করে ফোন বন্ধ পায়।
বিষয়টি ভাড়াবাসার জমিদারকে জানান।
এবং স্হানীয থানায় ঝর্ণা মামলা করতে গেলে, থানা কর্তৃপক্ষ আদালতে মামলা করার পরামর্শ দেন।
পরবর্তীতে ঝর্ণা মাহিম হোসেনকে আসামী করে, মাননীয়, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল নং-৪, চট্রগ্রাম। সুত্রঃ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধিত ২০০৩) এর (১) ধারায় মামলা নং ২৯৭/২০২২ ইং তারিখ: ০৪/০৭/২০২২ (বায়জিদ) ফৌজদারী অভিযোগ দায়ের করেন।
মামলাটি বর্তমানে পি বি আই তদন্তধীন রয়েছেন।
এ বিষয় আসামী মাহিম হোসেন এর নিকট জানতে চাইলে, তিনি জানান এ ধরেনর কোন ঘটনাই ঝর্ণার সাথে ঘটে নাই। আমার নামে মিথ্যা বানোয়াট মামলা করেছেন।
এ বিষয় মাহিমের পিতা, মো: জাহাঙ্গীর ফরাজীর নিকট জানতে চাইলে, তিনি ভিডিও সাক্ষাতকারে বলেন, আমার ছেলে ফাহিম হোসেন ঝর্ণার পূর্বেও ৩/ ৪টি মেয়েকে মিথ্যা বিবাহের আশ্বাসে সর্বনাষ করেছেন।
ঝর্ণার মামলার ঘটনা সম্পূর্ণ সত্য। আমার ছেলে ভাল না।
তিনি আরো জানান আমার ছেলে মাহিম হোসেন ফার্ম্মেসী এম বি বি এস ডাঃ প্যাড ব্যবহার করিয়া জাল সনদ দিয়ে থাকেন।
টেবিলের মাঝ ডয়েরের স্টীম্পপ্যাড ও সীল রয়েছে।