ইলিয়াছ হোসেন, চট্টগ্রাম প্রতিনিধি:-চট্টগ্রাম নগরীর পতেঙ্গা থানাধীন ৪১ নং ওয়ার্ড নিজাম মার্কেট এলাকায় মাকে কুরুচিপূর্ণ কথা বলায় ছেলে প্রতিবাদ করে এতেই ছেলেকে হামলা এবং মামলার শিকার হন।

পতেঙ্গা থানাধীন ৪১ নং ওয়ার্ডয়ে নিজাম মার্কেট এলাকায় বসবাস রত মোঃ নজরুল ইসলাম ও তার স্ত্রী সহ তিন সন্তান একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করত ওই এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা মোঃ আরিফ নামে এক ব্যক্তি নুরুল ইসলামের স্ত্রী কে প্রায় সময় কুরুচিপূর্ণ কথা বলে আসছিল এই কথা নিয়ে নজরুল ইসলামের বড় ছেলে প্রায়ই আরিফের বড় ভাই বিএনপি সাবেক কাউন্সিলর ইসমাইলকে জানিয়ে আসছিল কিন্তু ইসমাইল বিষয়টি আমলে নেয়নি ।

পরে ১০ জুলাই ২০২২ ইং  আনুমানিক রাত ৯ টা সময় ছেলের সামনে আবারো মাকে বিভিন্ন অগত্য বাসায় গালাগালি করে এ নিয়ে ছেলে ক্ষিপ্ত হয়ে প্রতিবাদ করে প্রতিবাদ করার সাথে সাথেই ওই এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা আরিফ নামের ওই ব্যক্তি ও তার সহযোগীদের কে নিয়ে নজরুল ইসলামের ছেলে ইমন ও ইমাম উদ্দিন উপরে ক্ষিপ্ত হয়ে আক্রমণ করে পরে দুই পক্ষ হাতাহাতি এবং মারামারি করে এতে দু পক্ষের লোক আহত হয়।

এ বিষয় নিয়ে নজরুল ইসলাম ও তার স্ত্রী এলাকার স্থানীয় কাউন্সিলরের কাছে  বিচার দিলে ৪১ ওয়ার্ড কাউন্সিলর সালে আহমেদ চৌধুরী।

সাবেক, বিএন পি কাউন্সিলর ইসমাইল ও তার ছোট ভাই আরিফকে বারবার ডাকলেও তারা সমাধানে বসতে রাজি হয়নি পরে পতেঙ্গা থানায় এ বিষয় নিয়ে একটি জি ডি করা হয় জিডি নং ৪৬৩  পতেঙ্গা থানা থেকে একাধিক বার ইসমাইল ও তার ছোট ভাই আরিফকে ডেকে পাঠালেও তারা ওখানে বসতে রাজি হননি পরে থানা থেকে নজরুল ইসলাম ও তার স্ত্রীকে কোর্টে যাওয়ার পরামর্শ দেন।

পরে নজরুলের স্ত্রী বাদী হয়ে নিজের আত্মসম্মান রক্ষায় আরিফ ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। মামলা নং সি আর ১২৬/২২ এলাকার সূত্রে জানা যায় ওই এলাকার সাবেক বি, এন, পি কাউন্সিলর ইসমাইলের ছোট ভাই আরিফ ,এলাকার স্থানীয় লোকজন বলেন আরিফ প্রায় সময় মদ খেয়ে নেশাগ্রস্ত অবস্থায় বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন লোককে হেনস্থ করে সে সব সময় যেখানে সেখানে মদ খায় এবং বিভিন্ন মানুষকে আজেবাজে বাসায় গালাগালি করে কেউ যদি তার বিরুদ্ধে কোন কথা বলতে যায় তাহলেই তাকে হামলা মামলার ভয় দেখানো হয় তাই নিরুপায় হয়ে ওই এলাকার মানুষ তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিতে পারেনা।

এ বিষয়ে নজরুল ইসলাম বলেন আমার বাড়ি নোয়াখালী আমি কর্মর ক্ষেত্রে চট্টগ্রামের ৪১ নং ওয়ার্ড নিজাম মার্কেট এলাকায় থাকি এখান থেকেই এই এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা মোসাম্মদ জাহুরা বেগমের সাথে আমার বিবাহ হয় আমার তিনটি পুত্র সন্তান রয়েছে বিএনপির সাবেক কাউন্সিলর ইসমাইল এর ছোট ভাই মোঃ আরিফ অনেক আগে থেকেই আমার স্ত্রীর উপর কুদৃষ্টি দিয়ে আসছে এ নিয়ে আগেও স্থানীয় কাউন্সিলর ও থানায় অভিযোগ করি কিন্তু বিচার আচার হলেও সে কোন পরিবর্তন হয়নি ,তাই কিছুদিন আগে আমার স্ত্রীকে কুরুচিপূর্ণ কথা বলায় আমার ছেলেদের সাথে বড় ধরনের গ্যাঞ্জাম সৃষ্টি হয় এতে আমার ছেলেরা আহত হয়, পরে আরিফের স্ত্রী উল্টো আমাকে এবং আমার ছেলেদেরকে সহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে  মামলা দেয় এবং মামলার ওয়ারেন্ট করিয়ে দেয় পরে আমরা দুজন কোর্ট থেকে যাবিন নেই , আমার বড় দুই ছেলে ইমন ও ইমাম উদ্দিন বর্তমানে জেল হাজতে রয়েছে।

বর্তমানে নিজাম মার্কেট আমার ছোট্ট একটি চায়ের দোকান রয়েছে দোকান খুললে আরিফ ও তার সহযোগীরা সব সময় আমাকে হুমকি দিয়ে আসছে যে কোন মুহূর্তে আমাকে মেরে ফেলবে তাই আমি আমার স্ত্রী এবং ছোট ছেলেকে নিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছি।

এ বিষয় নিয়ে নজরুল ইসলামের স্ত্রী জহুরা বেগম বলেন দীর্ঘদিন যাবত আরিফ আমাকে কুপস্তাপ দিয়ে আসছে আমি তার কুপস্তবে রাজি না হওয়াতে আজকে আমার ছেলে এবং আমার স্বামীকে হামলা মামলার শিকার হতে হল আমি প্রশাসনের কাছে এর সুষ্ঠু তদন্ত এবং বিচারের দাবি জানাই।