নিজস্ব প্রতিবেদক:-“বাংলাদেশ আমার অহংকারচ্ এই স্লোগান নিয়ে র‍্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন

(র‍্যাব) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিভিন্ন ধরণের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে জোড়ালো

ভূমিকা পালন করে আসছে। র‍্যাব সৃষ্টিকাল থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধ এর উৎস

উদঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতারসহ আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির সার্বিক উন্নয়নে

নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে। র‍্যাব-৭, চট্টগ্রাম অস্ত্রধারী সস্ত্রাসী, ডাকাত, ধর্ষক,

দুর্ধষ চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, খুনি, ছিনতাইকারী, অপহরণকারী ও প্রতারকদের গ্রেফতার

এবং বিপুল পরিমাণ অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ ও মাদক উদ্ধারের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি

অবলম্বন করায় সাধারণ জনগনের মনে আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।

২। র‍্যাব-৭, চট্টগ্রাম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, কতিপয় মাদক

ব্যবসায়ী একটি ট্রাকযোগে কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম থানার সীমান্তবর্তী এলাকা

হতে মাদকদ্রব্য নিয়ে চট্টগ্রামের দিকে যাচ্ছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে অদ্য ১৯ আগস্ট ২০২২

ইং তারিখ ০১০০ ঘটিকায় র‍্যাব-৭, চট্টগ্রাম এর একটি আভিযানিক দল ফেনী জেলার ফেনী

মডেল থানাধীন মহিপাল এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক এর উপর বিশেষ চেকপোস্ট

স্থাপন করে গাড়ি তল্লাশি শুরু করে। এ সময় একটি ট্রাক তল্লাশী করে আসামী মোহাম্মদ

মিলন (৩৫), পিতা- আব্দুল মালেক, সাং- দানা মিয়া বাজার, থানা- মাইজদি, জেলা-

নোয়াখালীকে আটক করে। পরবর্তীতে উপস্থিত স্বাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত আসামীর

স্বীকারোক্তি ও দেখানো মতে ট্রাকের ড্রাইভিং সীটের পাশের্ব দুইটি প্লাস্টিকের বস্তার

ভিতর হতে মোট ৩০০ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধারসহ আসামীকে গ্রেফতার করা হয় এবং মাদক

পরিবহনে ব্যবহৃত ট্রাকটি জব্দ করা হয়।

৩। গ্রেফতারকৃত আসামীকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, সে

ড্রাইভিং পেশার আড়ালে দীর্ঘদিন যাবৎ সুকৌশলে মাদকদ্রব্য (ফেন্সিডিল) কুমিল্লা

জেলার সীমান্তবতর্ী এলাকা থেকে স্বল্প মূল্যে ক্রয় করে পরবতর্ীতে চট্টগ্রামসহ

পার্শ্ববতর্ী জেলার বিভিন্ন মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবনকারীদের নিকট অধিক মূল্যে

বিক্রয় করে আসছে। উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্যের আনুমানিক মূল্য ৩ লক্ষ টাকা।

৪। গ্রেফতারকৃত আসামী এবং উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্য সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ

ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে