মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪, ১১:৩০ পূর্বাহ্ন
মোঃ ইমানুর রহমান, জেলা প্রতিনিধি খুলনা,উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে বঙ্গোপসাগর পাড়ের সুন্দরবনের দুবলার চরে স্বাভাবিক জোয়ারের তুলনায় আড়াই থেকে তিন ফুট পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।রাতের জোয়ারে এ পানি আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে বনবিভাগ।
পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের দুবলা টহল ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দীলিপ বলেন, ‘লঘুচাপে মঙ্গলবার দুবলার চরে আগের তুনলায় আড়াই থেকে তিন ফুট পানি বেড়েছে। সাগর প্রচণ্ড রকম উত্তাল থাকায় ও ঝড়ো বাতাসে অফিসের বাইরে যাওয়ার মতো পরিস্থিতি নেই। সাগর উত্তাল হয়ে ওঠায় গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়া জেলেরা তাদের ট্রলার নিয়ে সুন্দরবনের দুবলার চরের মেহেরআলী, ভাঙ্গার খাল ও ভেদাখালী খালে আশ্রয় নিয়েছেন। দুপুর পর্যন্ত এই তিন খালে ৫০-৬০টি ফিশিং ট্রলার আশ্রয় নিয়েছে। বনের অন্যান্য খালেও নিরাপদে আশ্রয় নিয়েছেন জেলে-মাঝিমাল্লারা।
বনবিভাগের করমজল পর্যটন ও বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজাদ কবির বলেন, ‘মঙ্গলবারের জোয়ারে স্বাভাবিকের তুলনায় সুন্দরবনের নদী-খালে দুই ফুটের মতো পানি বেড়েছে। রাতের জোয়ারে পানি আরও বাড়তে পারে। কারণ লঘুচাপের প্রভাবে পূর্ব দিকের বাতাসের চাপ বেশি। পূর্ব দিকের বাতাসে সাধারণত পানি বেড়ে থাকে।’
তিনি বলেন, ‘এখন অমাবস্যার গোন (সময়) চলছে, এ সময় পানি কম হয়। পূর্ণিমার গোনে পানি বেশি হয়। কিন্তু এখন পানির চাপ পূর্ণিমার গোনের চেয়েও বেশি, কারণ এটি লঘুচাপের প্রভাব।
পানি বাড়লে সুন্দরবনের বন্যপ্রাণীর আবাসস্থল ডুবলে তাতে প্রাণীর ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা থাকে। তাই বাড়তি পানিতে যাতে বন্যপ্রাণীর ক্ষয়ক্ষতি না হয় সেজন্য বনের মধ্যে বিভিন্ন জায়গায় বনবিভাগের পক্ষ থেকে উঁচু উঁচু টিলা করে রাখা হয়েছে। পানি বাড়লে প্রাণীগুলো বনের ভেতরের উঁচু জায়গায় আশ্রয় নেয় বলেও জানান করমজল পর্যটন ও বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের কর্মকর্তা আজাদ কবির।