মোঃরজিবুল ইসলাম সুইট,ব্যুরো প্রধান(খুলনা বিভাগ):-
খুলনা ফুলতলা উপজেলার জামিরা ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডে আসমোতিয়া কলেজের পাশে ভাড়া বাড়িতে থাকা ১৪ বছরের কিশোরী ধর্ষণের স্বীকার হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অনুসন্ধানে জানা যায়,জামিরা এলাকার মৃত আহম্মদ বিশ্বাসের ছেলে শফিকুল ইসলাম শফি(৩৬),পার্শবর্তী মনু বিশ্বাসের ভাড়া বাসার পাশে ওয়েলডিং এর দোকান ও ব্যবসা করার সু-বাদে ভিকটিমের পরিবারের সাথে সম্পর্ক গড়ে তলে শফি।সম্পর্কের কারণে মনু বিশ্বাসের কিশোরী মেয়ে উর্মি আক্তার(১২), কে লম্পট শফিকুল বিভিন্ন স্থানে নিয়ে ধর্ষণ করে।
সর্বশেষ গত ২২শে জুলাই শুক্রবার একই এলাকার শফিকুলের ফুফু ফুলজান বেগম বাড়িতে না থাকায় লম্পট শফিকুল ঐ কিশোরী মেয়েকে ফুফু ফুলজানের বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণ করে।উল্লেখ লম্পট শফিকুলের স্রী ও দু'সন্তান রয়েছে।
তথ্যে স্থানীয় লোক জন অনেকে অভিযোগ করে বলেন, জঘণ্য এ ধর্ষণ ঘটনাকে ধামাচাপা দেয়ার জন্য স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য কুদ্দুস মেম্বার দৌড়ঝাপ শুরু করেছেন। নাম না প্রকাশ করার শর্তে একজন বলেন লম্পট শফিকুলকে বাঁচাতে মেম্বার কুদ্দুস মরিয়া হয়ে উঠেছে।
গত ৩১জুলাই সকাল ১১টায় আমার সামনে ঐ মেম্বার লম্পট শফিকুলকে ফোন করে বলেন,জরুরি এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যাও কিছু দিন গা ঢাকা দিয়ে থাকো আমি বিষয়টি মিমাংসা করার চেষ্টা করছি।
এবিষয়ে ইউপি সদস্য কুদ্দুসের নিকট মুঠোফোনে ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি অস্বীকার করে বলেন, আমি অপরাধীর বিচার চাই।এঘটনা ধামাচাপা আমি কেনো! দেবো। এটা মিথ্যা কথা। আসামি কে পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করেছেন কি না প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, তার ফোন গতকাল দুপুর থেকে বন্ধ আমি কি ভাবে তাকে পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করবো এটাও মিথ্যা বানোয়াট কথা।ভিকটিমের মা বিলকিস বেগম কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, আমাদের কেউ নেই, আমার সরলতার সুযোগ নিয়ে আমাকে বোন বলে আমার মেয়ে কে ঐ লম্পট শফিকুল এতবড় ক্ষতি করবে আমি ধারণাও করিনি। আমার মেয়ের যে, ক্ষতি করেছে আমি এর সুষ্ঠ বিচার চাই। ভুক্তভোগী কিশোরীর পিতা মনু বিশ্বাস বলেন, আমাকে প্রতিনিয়ত হুমকি দিচ্ছে আমি যাতে মামলা না করি বা আইনের আশ্রয় না যায়। আপনারা আমাকেও আমার মেয়েসহ পরিবারকে বাঁচান আমাদের কেউ নেই। আপনারা সাংবাদিক আমরা যেনো এই জঘন্য অপরাধী শফিকুলের দৃষ্টান্ত বিচার দেখতে চাই।ভিকটিমের খালা লিপি বেগম বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
এব্যাপারে ফুলতলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি(তদন্ত)এসএম শাহাদাৎ হোসেন বলেন,ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।