শনিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৯:১৬ পূর্বাহ্ন
মোঃমুরাদ হোসেন, জেলা প্রতিনিধি যশোর :-
যশোরের কেশবপুর উপজেলার মেহেরপুর গ্রামের রহিমা খাতুনের প্রেমের টানে আমেরিকান ইঞ্জিনিয়ার ক্রিস্ট মার্ক হোগল বাংলাদেশে এসে দেখতে দেখতে পাঁচ বছর পার করে দিয়েছেন। তিনি বাংলাদেশে আসার পর প্রথম দিকে গ্রামের মানুষের সঙ্গে নিজেকে খাপ খাইয়ে নিতে পারলেও এখন মানিয়ে নিতে পারছেন না। প্রতিনিয়ত জীবনযাপনে বাধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন এই দম্পতি।
ক্রিস্ট মার্ক ও রহিমার অভিযোগ, দেশে আসার পর প্রথম দিকে এলাকার মানুষ তাদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করত। মাস কয়েক পর ক্রিস্ট মার্কের কাছে বিভিন্ন সমস্যা ও অজুহাতে আর্থিক সহযোগিতার জন্য প্রতিবেশীরা বাড়িতে আসত এবং দ্রুত দেনা পরিশোধের আশ্বাস দিয়ে ক্রিস্ট মার্কের কাছ থেকে টাকা ধার নিত। ক্রিস্ট মার্কও সমস্যার কথা শুনে কাউকে খালি হাতে ফেরত যেতে দিতেন না। পরবর্তীতে ধার দেওয়া টাকা চাইতে গেলে নানা রকম হুমকি-ধমকির সম্মুখীন হতে হয়েছে ক্রিস্ট মার্ক ও রহিমাকে। এ পর্যন্ত মেহেরপুর গ্রামে প্রতিবেশীদের কাছে মোট ৭ লাখ ৭৭ হাজার ৫০০ টাকা পাবেন বলে দাবি করেছেন ক্রিস্ট মার্ক।
এদিকে ক্রিস্ট মার্ক যশোরের কেশবপুরের মেহেরপুর গ্রামে আসার পর চারতলা বিশিষ্ট একটি বাড়ি নির্মাণের কাজ শুরু করেন। এখন পর্যন্ত প্রায় ৬০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। তবে বাড়ির চারটি ছাদের ঢালাই শেষ হতে না হতেই ক্রিস্ট মার্কের সিদ্ধান্তের পরিবর্তন ঘটে। মেহেরপুর গ্রামের চিকিৎসা ব্যবস্থা এবং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স দূরে হওয়ায় তিনি তার নির্মাণাধীন বাড়িটিতে একটি প্রাইভেট হাসপাতাল তৈরি করতে চান। হাসপাতালটির নাম দিতে চান রহিমা সোলজার্স। এই হাসপাতালে আমেরিকান এবং বাংলাদেশি চিকিৎসকরা সেবা দেবেন।
রহিমা বলেন, আমরা দেশে আসার পর কিছু দিন সামাজিকভাবে শান্তিতে বসবাস করছিলাম। আমার স্বামী ক্রিস্ট মার্কের সরলতার সুযোগ নিয়ে গ্রামের কিছু লোকজন তার থেকে কয়েক লাখ টাকা ধার নেয়। বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে পরে এসব টাকা দিতে অস্বীকার করে। তাদের কাছে টাকা চাইতে গেলে নানা রকম হুমকি-ধমকির সম্মুখীন হতে হয়।
অনেকে নাম না প্রকাশ করা শর্তে রহিমার এ সকল অভিযোগের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এমএম আরাফাত হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, রহিমা এবং ক্রিস্ট মার্ক তারা কেউই আমার কাছে এখনো আসেননি। তারা যদি এসে লিখিত অভিযোগ দেন সেক্ষেত্রে টাকা লেনদেনের ডকুমেন্টস থাকলে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।